বিশ্বের এক নম্বর রিটেইল বা ই-কমার্স সাইট হল Amazon.com। এখান থেকে পণ্য, জামাকাপড়, মেক আপ প্রোডাক্ট সবকিছুই দোর গোড়ায় পাওয়া যায়। শুধু দরকার একটা স্মার্ট ডিভাইস, ইন্টারনেট আর আপনার পণ্য মূল্যের অর্থ। মেলে অনেক অফারও।
যুক্তরাষ্টের বাসিন্দাদের অনলাইনের খরচ করা প্রতি ডলারের অন্তত ৫০ সেন্টস (Cents) এখন অ্যামাজনের খাতে। ২০২০ সালে এই ই-কমার্স সাইট, মার্কেট শেয়ারের প্রায় ৪৭% নিয়ন্ত্রণ করেছিল।
চলতি করোনা পরিস্থিতি বেশিরভাগ খুচরো বিক্রেতাকে লোকসানের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এদিকে Amazon এর ক্ষেত্রে এই সময়টা বেশ লাভজনক হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মই এখন গোটা অনলাইন এবং ডেলিভারি বাজার দখল করে রয়েছে।
২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমস্ত ই-কমার্স বিক্রয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই Amazon এর দখলে রয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যামাজন কয়েক হাজার কর্মীও নিয়োগ করেছে। ২০২০ সালে ১ মিলিয়ন কর্মচারীর সংখ্যা অতিক্রম করেছে এই কোম্পানি।
Amazon এর বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি। প্রথম দিকের বিনিয়োগকারীরা এখন কোটিপতি।
Amazon বর্তমানে আমেরিকার ৫ টি বৃহত্তম কর্পোরেশনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা পৃথিবীর দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। তথা ইলন মাস্কের পরেই জেফ বেজোসের স্থান।
প্রাক্তন ই-কমার্স সাইট যেমন Sears এবং Toys “R” Us-এর মতো কোম্পানিগুলি এখন ভেঙে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে জেফ বেজোস যখন অ্যামাজন চালু করেছিলেন, তখন কোম্পানিটি প্রথম বছরের জন্য লাভজনক হয় নি। সেইসময় Amazon একটি স্টার্টআপ ছিল। যা ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল।
এই কোম্পানির প্রথম পরিকল্পনা ছিল বই বিক্রি। যাতে মানুষ সশরীরে বইয়ের দোকানে না গিয়ে বাড়িতে বসেই কম্পিউটার বা অন্য কোনো স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে বই ব্রাউজ করতে এবং কিনতে পারে Amazon থেকে।
এই ধারণাই আমাজনকে ব্যাপক লাভ এনে দেয়। আমাজন শীঘ্রই বিশ্বের বৃহত্তম বইয়ের দোকানে পরিণত হয়েছিল। আর তারপর এটি বইয়ের ভার্চুয়াল দোকান থেকে সমস্ত পণ্যের দোকান হয়ে ওঠে।
যদিও সাফল্যের পথে এগোনর সময় আমাজন ব্যাপকভাবে যাচাই পদ্ধতি এবং বিতর্কের মুখে পড়ে। সঙ্গে অন্য কোম্পানিগুলির হিংসাত্মক পদক্ষেপ এবং ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক ধাক্কা ইত্যাদিরও মুখোমুখি হতে হয়।
Republic Day : গণতান্ত্রিক দিবসের প্যারেডে আদতে একটি ইংরেজি গানের সুর বাজে! জেনে নিন এই বিশেষ দিনের কিছু অজানা তথ্য